ঐ দেখা যায় বাবুই পাখি
হালকা ডালে বাস,

সুন্দর এখান ঘর করেছে
দুলছে বারো মাস।

গর্বে আমার ভরিছে বুক
দেখিয়া বাবুই পাখি,

যতই দেখি ভরেনা মন
দেখিতে চাহে মোর আখি।

কি যে শৈল্পিক নিয়ে
গড়ায় সে ঘর,

মন বধুরে পাবার লাগি
একলাই সাজে বর।

এমন সাজে সাজানো ঘর
দখিনা হাওয়ায় দুলে,

সুন্দরে দেখিতে সুন্দর
দরজা রাখে খুলে।

অন্ধকারে জি জি পোকা
রাখিয়া দ‍্যাহে ঘরে,

ঐ পোকাতে শৈল্পিক পাখি
বাত‍ির সল্পতা দুর করে।

আট্টালিকায় থাকে না বাবুই
কুড়ে ঘরেতে বাস,

পরের ধনে নেই পোদ্দারি
আপন কর্মের সে দাস।

নিজ শ্রমে ঘর করে তাই
সেটাই অহংকার,

রোদে পুরে বৃষ্টি ভিজেও
ঐ ভিলাই অলংকার।

অল্পে সে তুষ্ট বলে
লড়াই করিয়া বাচে,

ঐ তাগিদে বাবুই সোনা
নিত‍্য নতুন সাজে।

ছোট্ট ঘরেতে বাস তার
তবুও অহংকার,

পরের ধার ধারেনা তাই
গড়ায় খড়ের ঘর।

পরের জায়গা নয়কো আপন
বাবুই সেটা জানে,

শতো কষ্ট হলেও নিজের
সুখ সেটারে মানে।

ঝড় ঝঞ্ঝা হলেও বাবুই
ধার ধারেনা পরের,

তয় কষ্ট আর কষ্ট মাঝেই
ঘরটি বানায় খড়ের।

বৃষ্টি এলে ভিজে বাবুই
আফসোস নেই মনে,

পরের সুখে হিংসুটে নয়
সর্ব পাখিই তা জানে।